প্রকাশিত: ১৫/০৭/২০১৭ ৭:৪৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪৩ পিএম
ফাইল ছবি

মাহাবুবুর রহমান :

ফাইল ছবি

কক্সবাজার ইনডোর স্টেডিয়াম হচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে কক্সবাজারে একটি আধুনিক মানের স্টেডিয়াম নির্মানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে একই সাথে দ্রুত প্রাক্কলন তৈরি করতে একজন প্রকৌশলী নিয়োগ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ১ জুন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক প্রকল্প ও উন্নয়ন নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক পত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে খুব অল্প সময়ে প্রাক্কলন তৈরি শেষ হলে মূল নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনূপ বড়–য়া অপু। এবং ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ হলে কক্সবাজারের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য একটি নতুন মাইলফলক হবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনূপ বড়–য়া অপু জানান ১৯৫৬ সালে প্রতিস্টিত কক্সবাজার স্টেডিয়াম বা জেলা ক্রীড়া সংস্থা জেলার ক্রীড়াঙ্গনে সব সময় উজ্জল ভূমিকা রেখে আসছে। একই সাথে জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনেও কক্সবাজারের খেলোয়াড়রা বিভিন্ন ইভেন্টে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে এবং এখনো করছে। কিন্তু আমাদের যতসব কার্যক্রম- প্রতিযোগিতা বা প্রশিক্ষন এমনকি সব ধরনের ইনডোর খেলাও আমাদের স্টেডিয়াম মাঠে করতে হয়। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চিন্তা করেছি যদি আমাদের এখানে একটি ইনডোর স্টেডিয়াম হয় তাহলে অনেক খেলা এবং প্রশিক্ষণ বা নিয়মিত চর্চা আমরা ইনডোর স্টেডিয়ামেই করতে পারবো। তাই ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ বর্তমান কার্যকরী পরিষদের অনুমতি নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে একটি ইনডোর স্টেডিয়ামের জন্য আবেদন করি। এবং জমি হিসাবে আমাদের মূল ভবনের পাশেই পুরাতন টেনিস মাঠ যা ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০০ ফুট প্রস্থ আছে। সেখানেই ইনডোর স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব দিলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেটিকে খুবই আন্তরিকতার সাথে গ্রহন করে। এর মধ্যে আমি মাঝে মধ্যে যোগাযোগ করেছি এবং স্বশরীরে গিয়েছি সেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা আমাদের সব সময় আশ্বস্থ করেছিল কক্সবাজারে ইনডোর স্টেডিয়াম হবে। সর্ব শেষ গত কিছু দিন আগেই নিশ্চিত হলাম যে কক্সবাজার ইনডোর স্টেডিয়াম করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ত্রাই ধারাবাহিকতায় খুব শীঘ্রই ইনডোর স্টেডিয়ামের একটি প্রাক্কলন তৈরির জন্য একজন প্রকৌশলীও নিয়োগ দিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এদিকে ১ জুন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক প্রকল্প ও উন্নয়ন নারায়ান চন্দ্র দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক পত্র থেকে জানা গেছে সারা দেশের ৭ টি জেলায় ইনডোর স্টেডিয়াম করার জন্য প্রাক্কলন তৈরি করতে প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীন কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জেলা গুলো হলো-কক্সবাজার ,নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াড়াঙ্গা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বরগুনা।
এ ব্যপারে কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সদস্য রতন দাশ বলেন কক্সবাজার এখন বড় ইভেন্টের পাশাপশি ইনডোর ইভেন্ট গুলোতে বেশ সফলতা অর্জন করছে। সম্প্রতি তায়কোয়ানডো, উশু, কারাতে, দাবা, ব্যাডমিন্টন সহ সব ধরনের ইনডোর খেলায় জাতীয় ভাবে বড় বড় সফলতা এসেছে। তাই আমাদের খেলোয়াড়দের নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং চর্চা ধারাবাহিক রাখতে ইনডোর স্টেডিয়ামের বিকল্প নেই। যদি এখানে একটি ইনডোর স্টেডিয়াম হয় তাহলে কক্সবাজারের ছেলে মেয়েরা ব্যক্তিগত ইভেন্টে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবে। তাই বর্তমান সরকার কক্সবাজারে একটি ইনডোর স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জেনে আমি একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে খুবই আনন্দিত।
এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক আবছার উদ্দিন বলেন কক্সবাজারে একটি ইনডোর স্টেডিয়াম আমাদের অনেক দিনের প্রাণের দাবী ছিল। সেটি সামনে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে শুনে খুবই ভাল লাগছে, তবে একই সাথে আমর্ াচাইবো এখানে যে ইনডোর স্টেডিয়ামটি হবে সেটি কক্সবাজারের গুরুত্ব বিবেচনা করে যেন অত্যাধুনিকভাবে নির্মিত হয়।
সাধারণ সম্পাদক অনূপ বড়–য়া অপু বলেন কক্সবাজারে এখন আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হয়েছে, সামনে এখানে বড় বড় ম্যাচ হবে, তাছাড়া সার্ফিং, বীচ ভলিবল, ম্যরাথন, শরীর গঠন প্রতিযোগিতায় কক্সবাজারের অনেকে মিস্টার বাংলাদেশ। এছাড়া অনেক ইভেন্ট জাতীয় ভাবে কক্সবাজারেই হয়ে আসছে তাই এখানে যে ইনডোর স্টেডিয়াম হবে আমি আসা করবো বহুতল ভবনে জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল, ২০০/৩০০ আসন বিশিষ্ঠ মিনি গ্যালারী এবং প্রতিটি ভবনে পর্যাপ্ত খেলার সরাঞ্জাম সহ একটি আধুনিক মানের ইনডোর স্টেডিয়াম হবে। আমরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে ্জন্য কক্সবাজারের মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়দের সহযোগিতা চাই। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

কানাডায় স্ত্রী ও সন্তানকে রেখেই প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের পিড়িতে চকরিয়া নুর!

কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া পরবর্তীতে কানাডায় বসবাসরত নুর বেগম নামের এক মহিলাকে বিয়ের ...

সিইসির মা-বাবার সমস্ত সম্পদ দিয়ে কক্সবাজারে গড়ে তোলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার:: কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের গর্বিত সন্তান এ এম এম নাসির উদ্দীন ১৯৬৮ সালে ...

যুগান্তরের প্রতিবেদন শঙ্কার মাঝেও কক্সবাজারে বাণিজ্য মেলার অনুমতি, প্রধান সমন্বয়ক আ.লীগ নেতা!

ডিসেম্বরে কোথাও বাণিজ্য মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবারও শিল্প ও বাণিজ্য ...